• Skills Development Proposal (SDF) Preparation Workshop for RPL (Rangpur Division)

    Skills Development Proposal (SDF) Preparation Workshop for RPL (Rangpur Division)

  • অধ্যক্ষ মহোদয় কর্তৃক শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

    অধ্যক্ষ মহোদয় কর্তৃক শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

  • মহান বিজয় দিবস-২২ এর শ্রদ্ধাঞ্জলি

    মহান বিজয় দিবস-২২ এর শ্রদ্ধাঞ্জলি

  • নতুন অধ্যক্ষ জনাব মোঃ আইয়ূব আলী স্যার এর বরণ অনুষ্ঠান

    নতুন অধ্যক্ষ জনাব মোঃ আইয়ূব আলী স্যার এর বরণ অনুষ্ঠান

  • নতুন অধ্যক্ষ জনাব মোঃ আইয়ূব আলী স্যার এর বরণ অনুষ্ঠান

    নতুন অধ্যক্ষ জনাব মোঃ আইয়ূব আলী স্যার এর বরণ অনুষ্ঠান

মুজিব শতবর্ষ
-1457দিন -9ঘণ্টা -15মিনিট -42সেকেন্ড

প্রতিষ্ঠান পরিচিতি

উত্তর জনপদের অবিভক্ত বাংলার প্রাচীন শহর রংপুর এর অন্যতম শিক্ষায়তন “রংপুর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ”। এ অঞ্চলের কারিগরি শিক্ষা বিস্তারের জন্য বৃটিশ ভারতের তৎকালীন তাজহাট রাজবাড়ী জমিদার গোবিন্দ লাল ১৮৬৫ সালে “গোবিন্দ লাল টেকনিক্যাল স্কুল” প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৬৮ সালে রংপুর জেলার ইংরেজ প্রশাসক রবার্ট বেলী কে জমিদার গোবিন্দলাল মহাশয় অত্র প্রতিষ্ঠানে আমন্ত্রন জানিয়ে তার সম্মানার্থে নামকরণ করেন “বেলী গোবিন্দ লাল টেকনিক্যাল স্কুল”। এবং তারই পৃষ্ঠপোষকতায় এ টেকনিক্যাল স্কুলটি পরিচালিত হয়ে আসছিল। ১৯০৯-১০ সালের তৎকালীন বৃটিশ ভারত শিক্ষা জরিপের তথ্য মতে এ প্রতিষ্ঠানটিই ছিল অত্র অঞ্চলের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাদানের একমাত্র স্কুল। স্কুলটির বিশেষ খ্যাতির জন্য তৎকালীন ভারতের “শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ” কর্তৃক স্বীকৃতি পায়। জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হলে স্কুলটি পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করে রংপুর জেলা বোর্ড। কালের পরিক্রমায় শত বছর পেরিয়ে ১৯৬২ সালে এর নামকরণ হয় “রংপুর টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট” ১৯৬৫ সালে একই শিক্ষায়তন ও ক্যাম্পাসে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, ভোকেশনাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট এবং গভঃ কমার্শিয়াল ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়। যা ১৯৮৪-৮৬ সালে যথাক্রমে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এবং গভঃ কমার্শিয়াল কলেজ অন্যত্র চলে গেলে শুধু ভোকেশনাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট হিসেবে থেকে যায়। পরবর্তিতে এই ভোকেশনাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউটটি ২০০৪ সালে রংপুর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ নামে নতুন আঙ্গীকে যাত্রা শুরু করে নানাবিধ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমান এস.এস.সি (ভোকেশনাল)-১০টি ট্রেড, দুই শিফটে (নবম-দশম), এইচ.এস.সি( ভোকেশনাল)-১০টি ট্রেড, ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং– ০৩টি টেকনোলজি ও ০৪টি অকুপেশনে ৩৬০ঘন্টা মেয়াদী শর্ট কোর্স চলমান রয়েছে।

বিভাগীয় শহর রংপুরের প্রাণ কেন্দ্রে নিউ ইঞ্জিনিয়ার পাড়ায় অবস্থিত “রংপুর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ” যার পূর্ব দিকে রংপুর জেলা পরিষদ , পশ্চিম দিকে রংপুর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং সম্মুখে রংপুর পুলিশ লাইন্স । প্রতিষ্ঠানটি বিভাগীয়/জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে মাত্র ৩০০ মিটার পূর্বে এবং রংপুর সিটি কর্পোরেশন হতে মাত্র ৫০ মিটার পশ্চিম দিকে প্রধান সড়কের পাশেই অবস্থিত। আন্তজাতিক স্বীকৃতি প্রাপ্ত (APAC) প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ২৫০০জন।

মহাপরিচালক

মহাপরিচালক

বিশ্বজনীন প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে জ্ঞান, দক্ষতা ও উদ্ভাবনী শক্তি অপরিহার্য। গুণগত ও মানসম্মত শিক্ষার (Quality Education) পাশাপাশি উচ্চমানের দক্ষতা অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জনের পরিপূরক আর অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জনের নিয়ামক হলো কারিগরি শিক্ষা। কারিগরি শিক্ষার প্রচার-প্রসার ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তি, কর্মসংস্থান, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপ, ইন্ডাস্ট্রি-ইন্সটিটিউট লিংকেজ, যুগোপযুগী কারিকুলাম, এনরোলমেন্ট বৃদ্ধি, শিক্ষক-প্রশিক্ষণ, প্রজেক্ট-পলিসি সাপোর্টসহ উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার গুরুত্ব অপরিসীম.......

- Md. Mohsin, Director General

অধ্যক্ষ

অধ্যক্ষ

গুণগত ও মানসম্পন্ন শিক্ষা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। আর টেকসই উন্নয়নের জন্য চাই কারিগরি শিক্ষা। সাধারণ শিক্ষা যেখানে তত্বীয় সর্বস্ব, সেখানে কারিগরি শিক্ষা ব্যবহারিক প্রয়োগ নির্ভর। যে সব দেশ যত উন্নত সে সব কারিগরি শিক্ষায় ততই উন্নত। জার্মান, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি দেশের ব্যাপক উন্নয়নের মূলে রয়েছে কারিগরি শিক্ষা। সম্প্রতি ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব দিয়ে প্রভূত উন্নতি সাধন করছে ।

দক্ষতা বিহীন সার্টিফিকেট নির্ভর বাজার মূল্যহীন শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠী দেশের বোঝা স্বরূপ। পক্ষান্তরে, কারিগরি শিক্ষায় একজন শিক্ষার্থী তার মেধা এবং যোগ্যতার পরিপূর্ণ ব্যবহারের সামগ্রীক সুযোগ পায়। ফলে দেশে ও বিদেশে সহজে কর্মসংস্থানের যেমন সুযোগ হয় তেমনি স্বাধীনভাবে প্রযুক্তি গত দক্ষতা কাজে লাগিয়ে স্ব নিয়োজিত পেশায় তার ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হয় । আশার কথা বর্তমান সরকার কারিগরি শিক্ষাকে অগ্রাধীকারের অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিয়েছে এবং কারিগরি শিক্ষার ব্যাপক সম্প্রসারণের উদ্যোগ হিসাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই আরো ৩২৯টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ অনুমোদন দিয়েছেন ।

- জনাব মোঃ আইয়ুব আলী, Principal